বিশেষ প্রতিবেদক :
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ৭ জানুয়ারি। হাতে আর মাত্র ১১ দিন বাকি। কিন্তু এর মধ্যে পর্যটন জেলা কক্সবাজারের ৪ টি সংসদীয় আসনের আওয়ামীলীগের দলীয় ৪ সংসদ সদস্য কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন।
যেখানে নৌকার প্রতীক বিহীন কক্সবাজার ১ চকরিয়া-পেকুয়া আসনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সংসদ সদস্য জাফর আলম। যেখানে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ কল্যান পার্টির হাত ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মেজর জেনারেল অব সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে আনুষ্ঠানিক ভাবে সমর্থন জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ। অপর ৩ টি আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ৩ সংসদ সদস্য প্রার্থী হলেও যেখানেও আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা বেঁকে বসেছেন। এসব নেতা-কর্মীরা দলীয় এমপির কাছে অপমূল্যায়ন, অবেহলা কথা বলে পরিবর্তনের কথা বলছেন।
একই সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদ সহ নানা স্থানীয় নির্বাচনে এমপি বিরোধীরাও সংযুক্ত হয়েছে আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী বা অন্য প্রার্থী সাথে। ফলে কক্সবাজারের ৪ টি সংসদীয় আসনেই বেকায়দায় পড়েছেন ৪ এমপি।
এই সুযোগে কক্সবাজার ১ চকরিয়া-পেকুয়া আসনে বাংলাদেশ কল্যান পার্টির হাত ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মেজর জেনারেল অব সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, কক্সবাজার ২ মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনে বিএনএম এর নোঙ্গর প্রতীতের প্রার্থী শরীফ বাদশাহ, কক্সবাজার ৩ সদর-রামু-ঈদগাঁও আসন ও কক্সবাজার ৪ উখিয়া-টেকনাফ আসনে শেষ মূহুর্তে ঈগল প্রতীক নিয়ে মাঠে আসা আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ ও মো. নুরুল বশর।
কক্সবাজার ১ :
কক্সবাজার ১ চকরিয়া-পেকুয়া আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত কোন প্রার্থী নেই। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ হলেও পরে ঋণ খেলাপীর অভিযোগে মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এই আসনটি ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন এমপি জাফর আলম। আর বাংলাদেশ কল্যান পার্টির হাত ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মেজর জেনারেল অব সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে আনুষ্ঠানিক ভাবে সমর্থন জানিয়েছেন মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামীলীগ নেতাদের অভিযোগ গত ৫ বছর ধরে এমপি জাফর আলম সন্ত্রাস, দখলবাজি, দুর্নীতিসহ নানা অপকর্ম করে গেছে। জাফরের হাতে বহু নেতাকর্মী মারধর ও লাঞ্ছনার শিকার। তার কারণে বেড়েছে দলীয় কোন্দল। আওয়ামীলীগের ত্যাগী এবং তৃর্ণমুলের নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে সন্ত্রাস, চোরদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব সিন্ডিকেট। আর সেই সিন্ডিকেট ভেঙ্গে পরিবর্তনের পক্ষে আওয়ামীলীগ মাঠে নেমেছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম।
তিনি জানান, চকরিয়া ও পেকুয়ার আওয়ামীলীগ সহ সাধারণ মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। একজন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। পরিবর্তন হবে।
জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, চকরিয়া-পেকুয়ায় এমপি জাফর আওয়ামীলীগের হলেও সকল কাজ-কর্ম ছিল আওয়ামী বিরোধী। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকে শুরু করে নানা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বিপক্ষে ছিলেন। নৌকার পরাজয় করেছেন। এবার প্রধানমন্ত্রী নেতা-কর্মীদের সুযোগ করে দিয়েছেন। নেতা-কর্মীরা হাত ঘড়ি প্রতীক নিয়ে মাঠে আছেন। হাত ঘড়িই বিজয় হবে।
চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী ও চকরিয়া পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেছেন, সন্ত্রাস, কোন্দলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। এবার হাত ঘড়িই বিজয় হচ্ছে।
হাতঘড়ি প্রতীকে প্রার্থী বাংলাদেশ কল্যান পার্টির সভাপতি জেনারেল ইব্রাহিম বলেন, এই আসনে যেহেতু নৌকার প্রার্থী নেই তাই তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকের ভোট পাবেন। এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এবং দলের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।
কিন্তু এমপি জাফর আলমের দাবি অধিকাংশ নেতা-কর্মীই তার পক্ষে মাঠে রয়েছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি বিজয় হবেন।
কক্সবাজার ২ :
কক্সবাজার ২ মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক অনেক সুবিধাজনক অবস্থায় ছিলেন। কিন্তু দিন যতই ঘনাচ্ছে পরিস্থিতিও পাল্টে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন রাগ-ক্ষোভ নিয়ে বসে থাকা নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে আসছে। আশেক বিরোধী শিবিরে ঢুকে পড়ছে।
স্থানীয় আওয়ামী নেতারা জানিয়েছেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার পাশার ছেলের বিরোধিতা করেন এমপি আশেক উল্লাহ রফিক। সেই সময়কার মধুর প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছে আনোয়ার পাশা চৌধুরী। তিনি এ পর্যন্ত আশেকে পক্ষে প্রকাশ্যে আসেননি। মহেশখালী উপজেলা সাধারণ সম্পাদক তারেক বিন ওসমান শরীফ এমপির সঙ্গে থাকলেও গোপনে শরীফ বাদশার পক্ষে রয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। আওয়ামীলীগ নেতা পরিবেশ বিজ্ঞানী আনছারুল করিম, যুবলীগের শাহজাহানসহ বিরাট একটি অংশ প্রকাশ্যে বিরোধিতা করছেন। গোষ্ঠীগত বিরোধের কারণে মহেশখালীতে ক্রমাগত ভারী হচ্ছে আশেক বিরোধী গ্রæপে। একই সঙ্গে কুতুবদিয়ার শ্রমিক লীগ নেতা মনোয়ারুল ইসলাম মুকুলদের বিরাট অংশ এমপি বিরোধী। স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের নেতারা আশেককে পরাজিত করতে কৌশলে কাজ করছে।
মনোয়ারুল ইসলাম মুকুল বলেছেন, এমপি আশেক আওয়ামীলীগকে বাদ দিয়ে ভিন্ন একটি চক্রের মিশন বাস্তবায়ন করেছেন। ইউপি নির্বাচনে অবহেলার শিকার হয়েছেন আওয়ামীলীগ। এবার সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নোঙ্গরের পক্ষে বেশীভাগই।
বিএনএম এর নোঙ্গর প্রতীতের প্রার্থী শরীফ বাদশাহ বলছেন, আওয়ামীলীগ ছাড়াও সাধারণ ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন তিনি।
এমপি আশেক উল্লাহ বলেছেন, আওয়ামীলীগ আমার সাথেই আছে। আমি বিজয় হব।
কক্সবাজার ৩ :
কক্সবাজার ৩ সদর-রামু-ঈদগাঁও আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের ভোটের চিত্র বদলে যাচ্ছে ক্রমাগত। গত ২১ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতের আদেশে ঈগল প্রতীক নিয়ে এই আসনে মাঠে নেমেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাইকোর্টের আওয়ামী আইনজীবী ফোরামের নেতা ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ।
র্যারিস্টার মিজান সাঈদ এই আসনটিতে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু ৩০ নভেম্বর মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ মনোনয়ন পত্র দাখিলের করতে এসেছিলেন। কিন্তু বিকাল ৫ টা অতিক্রম হওয়ায় বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমলের আপত্তির প্রেক্ষিতে মনোনয়ন পত্রটি গ্রহণ করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে যান ব্যরিস্টার মিজান সাঈদ। এবং আদালত মনোনয়ন পত্র দখলের জন্য আদেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ সময় অতিবাহিত হওয়ার ১১ দিন পর গত ১২ ডিসেম্বর ব্যারিস্টার মিজান সাঈদের মনোনয়ন পত্র গ্রহণ করে ছিলেন রির্টানিং কর্মকর্তা। পরে ১৫ ডিসেম্বর যাচাই বাছাইকালে কক্সবাজার জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান সমর্থন ভোটারদের এক শতাংশ স্বাক্ষরে গড়মিল ও সংশ্লিষ্ট ভোটার স্বাক্ষর প্রদানের বিষয়টি অস্বীকার করায় মনোনয়ন পত্রটি বাতিল করেন। এরপর মিজান সাঈদ আবারও আদালতে যান। বৃহস্পতিবার এক আদেশে প্রতীক বরাদ্দ পান তিনি।
ব্যারিস্টার মিজান সাঈদের পক্ষে কাজ করছে দলের একটি অংশ। এমনকি জেলার শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকজন নেতা দু’দিন আগে ইনানীর একটি আবাসিক হোটেলে বৈঠক করেন। সেখানে জরুরি সিদ্ধান্ত নিয়ে মিজান সাঈদের পক্ষে কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণও করা হয়েছে।
বিষয়টি স্বীকার করেছেন প্রার্থী মিজান সাঈদ। তিনি বলেছেন, মাঠ পর্যায়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিদের মধ্যে নেতৃত্ব পরিবর্তনের ভাবনা দেখতে পেয়েছেন। দলীয় প্রার্থী থাকায় প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগকালে দলীয় নেতাকর্মিদের উপস্থিতি কম দেখা গেলেও গোপনে অনেকই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। ভোটগ্রহণ ঘনিয়ে আসলে অনেকেই প্রকাশ্যে অবস্থান করবেন।
নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে নয়, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ করতে প্রার্থী হয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, “দলের মনোনয়ন চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাঠে সক্রিয় ছিলেন। দলের নেতাকর্মি ও এলাকাবাসীর দাবির মুখে প্রার্থী হতে বাধ্য হয়েছেন।”
গণসংযোগকালে ভোটারদের কাছ থেকে যে সাড়া পাচ্ছেন তাতে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বলে মন্তব্য করেন মিজান সাঈদ।
এদিকে ইতোমধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাইছারুল হক জুয়েল সহ অনেকেই মিজান সাঈদের পক্ষে মাঠে নেমেছে। মিজান সাঈদের সঙ্গে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এমপি কমলের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে শোনা গেছে।
তাছাড়া কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুনও ভোটের মাঠে ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছাত্র রাজনীতিতে তার কৌশল, দক্ষতা অনেকের জানা। তিনি কক্সবাজার পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সেই হিসেবে এখানকার ভোটে উল্লেখযোগ্য অংশে আঞ্চলিকতার টান পড়তে পারে। এমপি কমলের ঘর হিসেবে পরিচিত রামুর ঈদগড় ও গর্জনিয়ায় মামুনের পক্ষে ভালো সমর্থন লক্ষ করা যাচ্ছে।
তবে জয়ের ব্যাপারে বরাবরের মতো আশাবাদি সাইমুম সরওয়ার কমল। তিনি বলেছেন, তিনি বিজয় হবেন।
কক্সবাজার ৪ :
আদালতে আদেশে গত শুক্রবার কক্সবাজার ৪ উখিয়া টেকনাফ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে মাঠে নেমেছেন মো. নুরুল বশর। তাঁর পক্ষে মাঠে নেমেছে টেকনাফ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতারা। দলের বর্ধিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়ে এই প্রচারণা শুরু করেছেন।
আসনটিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এমপি শাহীন আক্তার। তিনি সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির স্ত্রী। গত ৫ বছর স্ত্রী মাঠে না থাকলে পুরো সময় জুড়ো ছায়া এমপি ছিলেন বদি।
এই আসনে আওয়ামী লীগের শাহীন আক্তারের সাথে মুল প্রতিদ্ব›দ্বী ছিল না। তবে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. নুরুল বশর প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ায় বদলে গেলে এই সমীকরণ। টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশরের রয়েছে নিজস্ব কর্মী বাহিনী। একই সঙ্গে টানা ১৫ বছরের ক্ষমতায় তৃর্ণমুল কর্মীদের অপমূল্যায়ন, নানা গ্রুপের কারণে পুরে ভোটার মাঠ বদলে গেছে।
টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন, উখিয়া-টেকনাফের মানুষ মাদক, মানবপাচার, অপহরণ, সন্ত্রাস থেকে রক্ষা পেতে চান। মানুষ সিন্ডিকেটবন্ধি সীমান্ত বাণিজ্য ভেঙ্গে দিতে চান। এটার জন্য পরিবর্তন চান মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বশরকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তারা।
উখিয়ার আওয়ামীলীগ নেতা মাহবুবুল আলম জানান, একটি চক্র যারা বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে এসে আওয়ামীলীগের দলীয় পরিস্থিতি নষ্ট করেছেন। তার বিরুদ্ধে এবার পরিবর্তনের কথা বলছেন সকলেই।
টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. নুরুল বশর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ নির্বাচনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। এই সুযোগ কোনভাবে হাত ছাড়া করা যাবে না। উখিয়া-টেকনাফের মানুষ একটি কালো চক্রের হাতে বন্ধি। যারা মাদক, মানবপাচার ও অপহরণের মতো ভয়াবহ ঘটনার করিগর হয়ে উঠেছেন। দেশব্যাপী একটি মদনামের অংশ হয়েছে। নির্যাতিত-নিপীড়িন হয়েছেন আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরাও। মানুষ এটার পরিবর্তন চান। ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সাবেক বর্তমান নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন। আমি উখিয়া-টেকনাফকে মাদক-মানবপাচার ও সন্ত্রাসী মুক্ত একটি নিরাপদ এলাকা করতে চাই। জনতা আমার সঙ্গে। আমি বিজয় হব।
আবদুর রহমান বদি বলেছেন, আওয়ামীলীগের নেতাকে পরাজিত করার মিশন নিয়েছে আওয়ামীলীগ। এটা হবে না। নৌকার বিজয় হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-